বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তন আগামী ১২ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র গ্র্যাজুয়েটদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পরিবারের অন্য কোনো সদস্য এমনকি শিশু নিয়েও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটরা অংশ নিতে পারবেন না।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সমাবর্তন সাজসজ্জাবিষয়ক উপ কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। সাজসজ্জা উপ কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ওই উপ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বলেন, সমাবর্তন উপলক্ষে আগামী ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত এবং ১১ ফেব্রুয়ারি অর্ধদিন গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে গাউনসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। গ্র্যাজুয়েটদের একটি ব্যাগ, হুড, টুপি ও সমাবর্তনের স্মরণিকা প্রদান করা হবে। সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে গাউন ফেরত দিতে হবে। গাউন ফেরত না দিলে গ্র্যাজুয়েটরা মূল সনদ নিতে পারবেন না। ১২ তারিখ সমাবর্তনের অনুষ্ঠান শেষে বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং ১৩ তারিখ সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত গাউন ফেরত দেওয়া ও সনদ গ্রহণ করা যাবে।
তিনি আরও জানান, প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েটকে তাঁর নিজ নিজ অনুষদীয় বুথ থেকে উপহার সামগ্রী গ্রহণ করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদের জন্য ভেটেরিনারি অনুষদে ৩ টি, কৃষি অনুষদে ৪ টি এবং অন্যান্য অনুষদগুলোতে দুইটি করে বুথ থাকবে। এছাড়া প্রত্যেক অনুষদের শিক্ষকদের জন্য একটি করে বুথের ব্যবস্থা থাকবে। বুথ থেকে তাঁদের একাডেমিক কস্টিউম কুপন সংগ্রহ করতে হবে। কুপনটি গ্র্যাজুয়েটদেরকে সংরক্ষণ করতে হবে। কুপন ব্যতীত গ্র্যাজুয়েটরা গাউন গ্রহণ বা ফেরত এবং মূল সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন না।
অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, সমাবর্তন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭ হাজার গাউন ভাড়া করা হয়েছে। সমাবর্তন শেষে গাউনটি প্রত্যেককে গ্রহণকৃত বুথে ফেরত দিতে হবে। নিবন্ধনে ব্যবহার করা ছবির সাথে মিলিয়ে গ্র্যাজুয়েটদের উপহার ব্যাগ দেওয়া হবে। একজনের উপহার অন্যজন নিতে পারবেন না। নিবন্ধনকৃত গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের মূল সনদ ও অন্যান্য উপহার সামগ্রীর দায়িত্ব অনুষদীয় একজন নির্দিষ্ট শিক্ষককে দেওয়া হবে। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে তা পরবর্তীতে সংগ্রহ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, সরবরাহকৃত গাউন সতর্কতার সাথে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করতে হবে। কোনো প্রকার ক্ষতি বা হারিয়ে গেলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।