বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৮ম সমাবর্তনে ৬ হাজার ৫’শত ২২ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বাকৃবির ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে সমাবর্তনটি অনুষ্ঠানটি হবে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক এবং সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে দীন মোহাম্মদ দীনু আরও বলেন, ২০১৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত স্নাতক, ২০২২ সালের এপ্রিল-সেপ্টম্বর ২০২২ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর এবং ২০১৬ থেকে পিএইচডিসহ মোট ১৩ হাজার ৩শত ৮৯ জন শিক্ষার্থী এ সমাবর্তনের আওতাভূক্ত ছিল। এর মধ্যে সমাবর্তনের জন্যে মোট ৬৫২২ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। যার মধ্যে ৫৬ জন পিএইচডি, ১৫১৯ জন স্নাতকোত্তর এবং ৪৯৪৭ জন স্নাতক শিক্ষার্থী।
৮ম সমাবর্তনের জন্যে এবার গোল্ড মেডেল বা স্বর্ণপদকের জন্যে মনোনীত হয়েছেন মোট ২২৪ জন। যার মধ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৬ জন এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জনসহ মোট ২২৪ জন মনোনীত হয়েছে। এদের মধ্যে স্বর্ণপদকের জন্য স্নাতকোত্তর ১৮৩ জন এবং স্নাতক ১৮ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্নকারী মোট ২০১ জন সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পাবেন। এছাড়া স্নাতক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হয়েছেন মোট ৫০ জন। যার মধ্যে ৪২ জন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অংশ নিবেন না। তবে তাঁর অনুশাসন অনুযায়ী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক । অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়াও উপস্থিত থাকবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ।
সমাবর্তন আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সবাইকে নিয়ে সমাবর্তন আয়োজন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। একসাথে অনেক গ্র্যাজুয়েটকে নিয়ে এটি হতে যাচ্ছে বাকৃবির ইতিহাসে অন্যতম বড় একটি সমাবর্তন। তবে ৮ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে আসছেন না। এখন বিভিন্ন প্রতিকূলতা পেরিয়ে সমাবর্তন আয়োজনের ব্যবস্থা করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলাম, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সমাবর্তনের প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিনসহ প্রমুখ।