বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অষ্টম সমাবর্তন স্মরণিয় হয়ে থাকবে আপন দুই ভাই আরিফ সাকিল ও আরিফ সাদিকের স্মৃতিতে। করণ আপন দুই ভাই সমাবর্তনে স্বর্ণপদক পেয়েছেন একসাথে। রোববার (১২ জানুয়ারি) তাদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন সমাবর্তনের অতিথিরা।
সাকিল ও সাদিক ২০১১–২০১২ সেশনে ভর্তি হন বাকৃবির কৃষি অনুষদে। তারা থেকেছেন একই হলে একই রুমে। ছাত্রজীবন শেষ করে দুই ভাই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তাদের মধ্যে আরিফ সাকিল বাকৃবির প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ইতোমধ্যে জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেছেন।
আরেক ভাই আরিফ সাদিক এখন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মাইক্রোগ্রিনস ও উদ্ভিদের লবণাক্ততা সহনশীলতার ওপর গবেষণা করছেন তিনি। বৃত্তি নিয়ে জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোগ্রিনস নিয়ে গবেষণা করে এসেছেন। এখন পিএইচডির জন্য লেখালেখি করছেন।
স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়ে আরিফ সাকিল বলেন, আমি আর আমার ভাই আরিফ সাদিক একসঙ্গে বাকৃবিতে পড়েছি। আপন ভাইকে রুমমেট, ব্যাচমেট হিসেবে পাওয়া এমনিতেই দারুণ একটা ব্যাপার। একসঙ্গে দুজন এবার স্বর্ণপদকও পেয়েছি। ক্যাম্পাসজীবনটা দারুণ কেটেছে। ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার, লেকের জলে মাছ ধরা, আমবাগানে রাতে ভূত এফএম শোনা, বিজয় একাত্তর ও শাপলা চত্বরের পাদদেশে গানের আসর, কেআর মার্কেট ও ফসিলের মোড়ের চায়ের আড্ডায় কখন যে পার করেছি জীবনের ছয়টি বসন্ত, বুঝতেই পারিনি।
এবারের সমাববর্তনে ৬ হাজার ৫২২ জন গ্রাজুয়েটের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৪ জন পেয়েছেন স্বর্ণপদক। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় আরও ৪৯ জন পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা।