বাকৃবিতে হল নির্মাণে চাঁদা দাবি: কমিটি গঠনের ৪০ দিনেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন
বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শেখ রেহানা হল নির্মাণ কাজ বন্ধের ব্যবস্থা করার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠে প্রকৌশলী মো. আল মামুনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের ৪০ দিন পার হলেও জমা পড়েনি তদন্ত প্রতিবেদন।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সর্বশেষ বর্ধিত সময় রবিবার (৫ নভেম্বর)। তবে দুই দফা সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হয় নি। তদন্ত কমিটির প্রথম সভা গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে তদন্ত প্রতিবেদন ২০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় আরও সাত কর্মদিবস বৃদ্ধি করা হয়।
এদিকে তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপককে স্থান দেওয়া হয় নি। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই। তদন্ত চলাকালীন সময়ে কমিটির সদস্যরা বিদেশ সফর করেন। সময়মতো কাজ না করার কারণে নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় নি।
৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে হিসেবে পানি সরবরাহ, গ্যাস, পয়ঃপ্রণালী ও স্যানিটেশন বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো মনিরুজ্জামানকে সভাপতি এবং পূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোহা. তৌহিদুল ইসলাম, এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার এডিশনাল চীফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) ডালিয়া খাতুন।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার বিষয়ে কমিটির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘কমিটি গঠনের সময় আমি আর সদস্যসচিব দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে আসতে দেরি হওয়ায় কমিটির কাজ শুরু করতে দেরি হয়। এজন্য পরবর্তীতে সময় আরও সাত কর্মদিবস বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কমিটির সদস্যসচিব সফরে থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন সময়ের আগে জমা দেওয়া সম্ভব হয় নি। সদস্যসচিব বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তদন্ত কাজ চলাকালে সাইট প্রকৌশলী আল মামুন ও আরাফাতকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় সময় আরও বর্ধিত করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় নি। এই তদন্ত কমিটি আমাদের অভ্যন্তরীন কমিটি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপককে রাখা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ মনে করলে তারা তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’