বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাঝেমধ্যেই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। আজকেও দুইটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে এসব সাইকেল চুরির সমাধান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ তিন ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি এবং নিরাপত্তা শাখায় তালা ঝুলায় শিক্ষার্থীরা। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়। পরবর্তীতে যেসব শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারিয়েছে তারাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্ট, প্রক্টর, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক মাসে প্রায় ২০ টির মতো সাইকেল হারিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ করিডোর, ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের সাইকেল স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এ সকল সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। মাঝেমধ্যেই সাইকেল চুরির এ রকম ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা অচল অবস্থায় রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, আজকে ২ টি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটার অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা দেয়। পরে আমরা কোতোয়ালী থানা পুলিশসহ আলোচনায় বসি। এ সময় গত কয়েক মাসে ২০ জন শিক্ষার্থী তাদের সাইকেল চুরির হওয়ার লিখিত অভিযোগ করেন। থানা পুলিশকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে আমাদের জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের তাদের কর্মকান্ড ঠিকমত পালনের বেশ কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সাইকেল স্ট্যান্ডগুলোতে টোকেন সার্ভিস চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, গত দুই মাসে প্রায় ২০ টির মত সাইকেল চুরি ঘটনা ঘটেছে। একজন গরীব শিক্ষার্থীর জন্যে এটি অপূরণীয় ক্ষতি। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে এসব সাইকেল কিনে পড়াশোনা ও টিউশনের কাজে ব্যবহার করে থাকে। আমরা এর আগেও উপাচার্য স্যারকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সাইকেল উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। সম্ভব হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিনে দেওয়া ব্যবস্থা করতে। একই সাথে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্যে সিসিটিভির আওতা বাড়ানো, নিরাপত্তা জোরদার এবং টোকেন ও রেজিস্ট্রার খাতার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।