বাকৃবি প্রতিনিধিঃ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদযাপন করেছে বাংলা নববর্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, শিশু-কিশোর কাউন্সিলের আয়োজনে ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও হাতের লেখা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে দিবিসটি উদযাপন করা হয়। তবে নববর্ষ উপলক্ষে এবছর কোনো মঙ্গলশোভা যাত্রা বের করা হয়নি।
জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আসলাম আলী, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি, হাওর ও চর উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো, আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। অতীতের সকল প্রকার গøানি-দু:খ-জরা মুছে ফেলে নববর্ষ সবার জীবনে আনন্দ ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসুক। দেশের মানুষের কল্যাণের মধ্যে দিয়েই দেশের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। নিজেদের হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সকলকে দেশের কল্যাণের জন্য সম্মিলিত প্রয়াসে কাজ করতে হবে।
হাতের লেখা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়। তিন ক্যাটেগরিতে মোট ১৫জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।