বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম. হারুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে ভেটেরিনারি অনুষদের এক মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ‘নারী নিরাপত্তা সেল’ কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা যৌন হয়রানির ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদে অধ্যয়নরত মালয়েশিয়ার এক নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. হারুণ-অর-রশিদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। পরে ওই ঘটনার তদন্তে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব আলমকে আহ্বায়ক এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কের পরিচালক অধ্যাপক ড. শহীদুল আলমকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তমা বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগতদের দ্বারা আমরা বিভিন্ন সময়ে উত্যক্তের শিকার হয়। এই ভয়ে ক্যাম্পাসে আমরা স্বাধীন ভাবে চলাচল করতে পারি না। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে নারীদের ক্যাম্পাসে নিরাপদভাবে চলাচল যেন করতে পারে এই দাবি থাকবে। আর আমাদের দাবি মেনে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি।
অংশগ্রহণকারী আরেকজন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রশাসনকে জানাতে চাই, আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অতীতে যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি বা বিচার হয়নি। আমরা আজকের মানববন্ধন থেকে দাবি করছি, অতীত ও বর্তমানের সব যৌন হয়রানির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। পাশাপাশি আমরা নারী নিরাপত্তা সেল দ্রুত সক্রিয় করার দাবি জানাই।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘নারী নিরাপত্তা সেল’ কার্যকর করার দাবি জানান। অতীতে যেসব যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে নারীর প্রতি নির্যাতন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।