বাকৃবি প্রতিনিধি: সরকারের সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে কালোব্যাজ ধারণ ও মৌনমিছিল করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি। এ সময় আগামী দুই দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা করা হয়। দাবি আদায় না হলে সামনে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনে উপস্থিত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন আমতলায় মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো সাইদুর রহমান, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. চয়ন কুমার সাহা, আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দাস, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দলের সভাপতি কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক এ.এস.এম গোলাম হাফিজ কেনেডী, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী শাহানারা আহমেদ, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষকবৃন্দ।
এ সময় অধ্যাপক ড. মো রফিকুল আলম বলেন, এটি আমাদের শিক্ষকসমাজের জন্য একটি ঘৃণিত প্রজ্ঞাপন। বিশ্ববিদ্যালয়কে মেধাশূণ্য করার জন্য এটি যথেষ্ঠ । এই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে হরণ করা হয়েছে।
এসময় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের নয়। উন্নত দেশ, উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যে এই আন্দোলন পুরো দেশের।
এছাড়া বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার কর্মসূচী ঘোষণা করে জানান, আগামী দুই দিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি থাকবে। এসময় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা লাইব্রেরীর সামনে আমতলায় অবস্থান এবং আন্দোলনের ধারা অব্যহত রাখার জন্য বলেন।
জানা যায়, সম্প্রতি সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেওয়া চাকরিজীবীদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।