পুরোপুরি গবেষণা এবং ব্যাবহারিক পাঠনির্ভর চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অ্যাগ্রিকালচার (বিএসসি.এজি) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সার্কুলার দিয়েছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। তবে সারাদেশের কৃষিবিদদের তীব্র আপত্তির মুখে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অ্যাগ্রিকালচার (বিএসসি.এজি) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অবশেষে স্থগিত করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)।
সোমবার বাউবির তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. আ ফ ম মেজবাহ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, বাউবির স্কুল অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল বেভেলপমেন্ট (সার্ড) পরিচালিত চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অ্যাগ্রিকালচার (বিএসসি.এজি) প্রোগ্রামে জুলাই-ডিসেম্বর-২০২২ সিমেস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অনিবার্য কারণে সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
সার্কুলার দেয়ার পর তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের জাতীয় সংগঠন কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ এবং দেশের সবকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কোর্স বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে কৃষিবিদ গ্র্যাজুয়েটদের এ সংগঠনটি। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টির মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এই কোর্স চালু না করতে নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোর্স দেওয়ার মতো কোনোই ‘ক্যাপাসিটি’ নেই। ল্যাবরেটরি নেই। নেই কোনো খামার। এই কোর্সটি উচ্চমাত্রার টেকনিক্যাল সাবজেক্ট।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) স্কুল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্টের ডিন অধ্যাপক ড. মো ফরিদ হোসেন বলেন, কৃষি কোর্স চালু করা যাবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেও বলা আছে। সে আলোকেই আমরা এই কোর্স চালুর সাকুর্লার দিয়েছিলাম। এই কোর্স অনলাইনে হতো না। সপ্তাহে চার দিন গাজীপুরের নিজস্ব ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হতো। ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ল্যাবরেটরিও প্রস্তত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এজন্য জনবল নিয়োগের প্রস্ত্ততি চলছে। তবে গবেষণার মাঠ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গ্র্যাজুয়েটদের সনদ দিতে পারলে, সরকারি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পারবে না কেন? ড. মো. ফরিদ হোসেন একজন কৃষি গ্র্যাজুয়েট এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সদস্য।