ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বৈধ-অবৈধ উপায়ে আশ্রয় নিয়েছে ভারতে। রাতারাতি দেশত্যাগ করলেও ভারতে এসে কেউই নেই আর্থিক সংকটে। পরিচিত ও আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ভারতে আগে থেকে গড়ে তোলা সম্পদ ও বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া টাকায় বহাল তবিয়তেই আছেন তারা।
বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগে দেশটির অন্তত ১৭ জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে চলছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযান। ভারতের ১৭টি জায়গার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১২টি জায়গায় চলছে ইডির এ অভিযান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, কোনো এলাকা ঘিরে অভিযান চালানোর সময় ইডির কোনো কর্মকর্তা সাধারণত কোনো বক্তব্য দেন না। তবে স্থানীয় থানায় অবগত করে তারা অভিযান শুরু করে। সেই সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারে এ অভিযান চালাচ্ছে ইডি।
এছাড়া ঝাড়খণ্ডের একটি মামলার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পিংকি বসু নামে এক নারীর সন্ধান পায় ইডি। ইডির অভিযোগ সম্প্রতি শত শত কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করেছেন এই নারী।
জানা যায়, বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন এই নারী। এই নারীর মধ্যগ্রামের তিনটি ফ্ল্যাট, বারাসাতের দুটি ফ্ল্যাট, একটি বার কাম রেস্তোরাঁয় মঙ্গলবার সকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। তবে তার থেকে কত নগদ অর্থ বা সম্পদ উদ্ধার হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি ইডি। তবে উদ্ধার হওয়া অর্থ বাংলাদেশের ওই শিল্প গোষ্ঠীর কী না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ইডি। একই সঙ্গে ওই নারীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচারের অভিযোগ এনেছে ইডি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ভারতে পাচারের অভিযোগে ভারতের বনগাঁ এলাকার পেট্রাপোল সীমান্তের এক ট্যাক্সি ড্রাইভার পিন্টু হালদার ও ট্যাক্স সীমান্ত ব্যবসায়ী পার্থ সাহার বাড়িতে সোমবার অভিযান চালিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়েছে বাড়ি। বাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বাড়ির সদস্যদের।