বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর থেকে ১০ ক্যাটাগরিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ওমান।বুধবার (১২ই জুন) ঢাকার ওমান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে ওমানের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (১২ই জুন) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওমানের ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
এতে বলা হয়েছে, ওমান দূতাবাস ঢাকা নিশ্চিত করছে যে সম্প্রতি ওমানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত বছর অক্টোবরে আরোপিত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণিকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে: ফ্যামিলি ভিসা, জিসিজি বা উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী এবং সকল ধরনের অফিসিয়াল ভিসা এবং উচ্চ-আয়ের আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন পর্যটক।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকাস্থ ওমান দূতাবাস উল্লিখিত শ্রেণীভুক্ত আবেদনকারীদের কাছ থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে ও ভিসা ইস্যুর ব্যাপারে রয়াল ওমান পুলিশের সাথে সমন্বয় করবে। আবেদনকৃত ভিসার পক্ষে আবেদনকারী তার যাবতীয় কাগজপত্র যথাযথ সত্যায়নপূর্বক যাচাই বাছাইয়ের জন্য দূতাবাসে জমা করতে হবে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রত্যেক আবেদনকারীর সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ওপর নির্ভর করে এক থেকে চার সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে দূতাবাস আশ্বস্থ করতে চায় যে এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও ওমানী কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
ওমান দূতাবাস জানায়, ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিছক একটি অরাজনৈকিত সিদ্ধান্ত যা কৌশলগত কারণে ওমানে বিদেশি শ্রম বাজার সমীক্ষা ও পর্যালোচনার চলমান একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। বাংলাদেশ ও ওমান উভয় দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার আর এ দুই দেশের বিচক্ষণ ও সুযোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ও বহুমাত্রিক ধারায় সম্প্রসারিত হতে চলছে।