বাংলাদেশকে একটি ভিন্ন দেশের অঙ্গরাজ্য বানাতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মুহাম্মদ মামুনুল হক। শনিবার বিকালে ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে তিনি এ মন্তব্য বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখা আয়োজিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির লক্ষে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি আল্লামা মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার এদেশে আলেম-ওলামাদের ওপর চরম নির্যাতন করেছে। তিনি বিগত সরকারের আমলে শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। অথচ ওই সরকারের মদদপৃষ্ঠ শাহবাগী নাস্তিকদের দিনরাত সমাবেশ করতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন।
তিনি শাপলা চত্বরে আলেম-ওলামাদের সমাবেশে নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, একটি রাত পর্যন্ত শাপলা চত্বরে তাদের থাকতে দেয়নি। শেখ হাসিনা তার দলবল নিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে। দেশের অর্থ লোটপাট, গণমানুষের অধিকার হরণ ও বাকশক্তি রুদ্ধ করে দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের উন্নয়নের নামে লোটপাট করে বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে স্কুল-কলেজগুলোতে কি পড়াশোনা হয়েছে- যা ছিল হিন্দুত্ববাদ কায়েম করা। এদেশে অবশ্যই সম্প্রীতি বজায় থাকবে তবে কোনো গোষ্ঠীর স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নয়। বাংলাদেশকে একটি ভিন্ন দেশের অঙ্গরাজ্য বানাতে দেওয়া হবে না।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নগ্নতা, সমকামিতা, নাস্তিকতা, পশ্চিমা দেশের সংস্কৃতি এ দেশে কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
৯০ ভাগ মুসলমানের এদেশে তিনি নতুন করে ইসলামি শিক্ষা কার্যক্রম গঠনের দাবি জানান। গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্বৈরচার পতনের নতুন স্বাধীনতার অর্জনকে ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বৈষম্যহীন ও ইসলামী সমাজব্যবস্থা গঠনে আলেম-ওলামাদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মসলিসের পাশে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান।
গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইসলামপুর গাফুরিয়া সুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল আজিজী গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিনসহ স্থানীয় উপজেলা ও জেলা কমিটির নেতারা।