ইয়াসির আরাফাতঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খান পদত্যাগ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন৷
(১১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব আলম ও উপাচার্যের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সোহাগ সরকার৷
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৭ এর ধারা ১০ (১) অনুযায়ী ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খানকে চার বছরের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি পূর্বসূরী উপাচার্য সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হন৷
গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলো বশেফমুবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আল্টিমেটামের সময় পুরিয়ে গেলে আজ বিকেল ৫ টায় আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে ঝটিমা মিছিল করে এবং উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্টারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে দপ্তরের নাম ফলকগুলো সরিয়ে নেয়৷ এর পরপরই বাধ্য হয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারন দেখিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আলম খান পদত্যাগ করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এস. এম. ইউসুফ আলী, সহকারী প্রক্টর সুমিত কুমার পাল এবং মির্জা আজম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট পার্থ সারথি দাশ, পরিবহন কমিটির সদস্য হোসাইন মাহমুদ আপেল, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি পদত্যাগ করেছেন।