The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি কি এবার হচ্ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কয়েক মাস আগে প্রতিষ্ঠার ১২ বছর উৎযাপন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রিয় কমিটির কাছ থেকেও সাংগঠনিক ইউনিট হিসাবে স্বীকৃতিও পেয়েছে। ববি বাংলাদেশ ছত্রলীগের ১১১তম সাংগঠিন ইউনিট। সাংগঠনিক ইউনিটের স্বীকৃতি পেলেও ১২ বছর পার হলেও ছাত্রলীগের কমিটি পায়নি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ বরাবরের মত এবারও আশ্বাস দিয়েছে পদপ্রত্যাশিত নেতা-কর্মীদের।

কবে হতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি? এ বিষয়ে কি ছাত্রলীগ উদাসীন, কি বলছে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ

ববি ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাধাররণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার, যেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাস্তবায়ন হয়েছে। মুজিব আদর্শের চেতনার একটি অভেদ্য ঘাটি হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ইউনিটটি একটি নবীনতম ইউনিট হলেও বরিশালের জ্ন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু নানামুখী জটিলতা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আঞ্চলিক নানান ইস্যুর কারণে সেটি গঠন করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি। এই শাখাটির সাংগঠনিক গতিশীলতা ত্বরান্বিত এবং জোরদার করার জন্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বদ্ধ পরিকর।

তবে দৃঢ়চিত্তে তিনি বলেন, অচিরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করার জন্য সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে ইউনিটগুলোর কমিটি দেওয়া হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগরিগ আমরা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

জানা যায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ ক্রিয়াশীল আছে। একটি গ্রুপ বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী, অপরটি সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী বলে জানা যায়। দুই গ্রুপের নামেই বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তারা প্রভাব বিস্তারের নামে প্রায় দ্বন্দে জড়ান। তাছাড়া সাংগঠনিক ভাবে কমিটি না থাকায় তার কোন অপকর্মে জড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্তা নিতে পারে না কেন্দ্র। যার ফলে তারা চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসার মত গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তাদের সাংগঠনিক ভাবে কোন শাস্তির মুখে পড়তে হয় না। সম্প্রতি যা তাদেরকে আরও বেপরয়া করে তুলেছে। আবার অনেকেই নিছক ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন।

অতিতে ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্রিয়াশীল থাকলেও অতি সম্প্রতি তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা ক্যাম্পাসের সার্বিক ছাত্র রাজনীতির জন্য ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন অনেকে। তবে ভবিষ্যতে আবার বিচ্ছিন্নতা ঠেকাতে ও সুষ্ঠু ক্যাম্পাস অঙ্গন প্রতিষ্ঠায় ছাত্রলীগের কমিটির প্রয়োজন মনে করছেন ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত সকলেই।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.