মেহরাব হোসেন, ববি:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে (ববি) ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীই অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে।
সম্প্রতি বরিশাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার এডুকেশন সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বরিশাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার এডুকেশন সোসাইটি সভাপতি হাসিব মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচশ শিক্ষার্থীর এ অনলাইনে জরিপে অংশ নেয়। তারমধ্যে ৯২ ভাগ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট (ওয়াইফাই) পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা তাদের প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের ইন্টারনেট পরিষেবাকে যথেষ্ট মনে করছেন না।
এছাড়াও আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদেরও প্রায় ইন্টারনেট সেবা নিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় থাকলেও এর সুফল পাচ্ছেন না তারা। হঠাৎ হঠাৎ সংযোগ বিচ্যুতি ও ধীরগতির জন্য এ সেবা যেন একপ্রকার বিড়ম্বনার আর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস এম সাজিদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিবছরে ইন্টারনেট বিল বাবদ তিনশ টাকা নেওয়া হয়। বর্তমানে আমাদের পড়াশোনার অধিকাংশই অনলাইন ভিত্তিক। আমাদের ক্যাম্পাসের কিছু কিছু স্থানে নিম্ন গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া গেলেও অধিকাংশ স্থানে একেবারেই পাওয়া যায় না। এছাড়াও মাঝে মাঝে কানেকশন লস হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা তো রয়েছেই। অতিসত্বর এর সমাধান হওয়া উচিত।
গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল বলেন, ক্যাম্পাসে ইন্টারনেটের গতি শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে বড় ভূমিকা রাখে। ইন্টারনেটের হঠাৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ধীরগতির কারণে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে এবং লাইভ লেকচার দেখতে সমস্যায় পড়তে হয়। এছাড়াও গবেষণা কেন্দ্রিক কাজের ক্ষেত্রে রিসার্চ পেপার, ডেটাবেজ বা ভারী কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে অতিরিক্ত সময় লাগে। যা গবেষণার কাজকে ব্যাহত করে ও মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটায়। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও উচ্চ-ব্যান্ডউইথ সম্পন্ন এবং দ্রুত সার্ভার সিস্টেমের ব্যবস্থা করা উচিত এবং নিয়মিত তা মনিটরিং হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কিং এন্ড আইটি অফিসের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল আমার সংবাদকে জানান, ক্যাম্পাসে ১০০০ এমবিপিএস গতির ওয়াইফাই চালু রয়েছে যার মধ্যে প্রতিনিয়ত ৭০০ থেকে ৮০০ এমবিপিএস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এ গতি আরো বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের ৫০ একর জায়গার মধ্যে এক ইঞ্চি জায়গাও যেন নেটওয়ার্কের বাইরে না থাকে তা নিয়েও কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে৷ আবাসিক হলগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তা হল কর্তৃপক্ষকে জানালে আমাদের নেটওয়ার্ক সেলের লোকজন তা দ্রুত সমাধান করার জন্য প্রস্তুত আছেন৷ আমাদের আন্তরিকতার জায়গা স্বচ্ছ আছে। এবিষয়গুলো নিয়ে উপাচার্যেরও নির্দেশনা রয়েছে, সে অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।