The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বন্যার্ত ২৫০ কৃষকের মাঝে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ধানের চারা-সার বিতরণ

বাকৃবি প্রতিনিধি: বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২৫০ কৃষকদের মাঝে ধানের চারা ও সার বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এগ্রি স্টুডেন্ট’স অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরহাসানে ২০০ কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠান ও বন্যার্ত পুনর্বাসন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। একই সাথে কুমিল্লার দেবিদারে প্রায় ৫০ কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। বাঁচলে কৃষক, বাঁচবে দেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ” স্লোগানে কর্মসূচির সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি এবং এগ্রি স্টুডেন্ট’স অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক শরীফ-আর- রাফি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, ড. ইমরান খান চৌধুরী, ঢাকা ব্যাংকের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কৃষি ব্যাংকিং ইউনিটের প্রধান মো কাতেবুর রহমান, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, বায়ার ক্রপের মো ইমরান, সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো হারুন অর রশিদ, এগ্রি অ্যালায়েন্স বিডির আব্দুল্লাহ আল মুন্না ও আশিকুর রহমানসহ
এগ্রি অ্যালায়েন্স বিডি অন্য সদস্যরা ও সুবর্ণচর উপজেলার হাসানচরের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
 এ সময় ঢাকা ব্যাংকের মো কাতেবুর  রহমান বলেন, বন্যা পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের মধ্য এই কর্মসূচি অন্যতম। আমরা সার ও কীটনাশক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। আমরা গত ৩ বছরে দেশের ৪২ টি জেলায় কাজ করেছি। এসব জেলায় প্রায় ৩২ হাজার কৃষককে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। সার, বীজ, কীটনাশক, বিভিন্ন মেশিনারি, ট্রাক্টর, সোলার পাম্প বিনামূল্য কৃষকদের মাঝে বিতরন করেছি।
কৃষি উপকরণ পাওয়া কৃষক আবুল কালাম  বলেন, আমি ৩ একর জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম। বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাকৃবির শিক্ষার্থীরা আমাদের মাঝে যে ধানের চারা বিতরণ করেছে আমি খুবই খুশি।  তারা আমাদের মতো কৃষকদের কথা চিন্তা করায় আমরা আনন্দিত হয়েছি।  আশা করি এই ধানের চারা আমাদের কিছুটা হলেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো হারুন অর রশিদ বলেন, কৃষকদের প্রায় ২০-৩৩ শতক জায়গায় ধান চাষাবাদের জন্য উপকরণ দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি প্রত্যেক কৃষক এই চারাগুলো মাঠে নিয়ে যাবে। এবং এই চারাগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবে। যারা এসব উদ্যেগে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা বেছে নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানায়। নোয়াখালীর এই জায়গাটি বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই চারা বিতরণের মাধ্যমে কৃষকরা সাময়িক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।
You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.