সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার পরও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ক্যম্পাসে জড়ো হয়ে মিছিল মিটিং করছেন তারা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থীকে সকালে হল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে।
রোববার সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে গেলেও এখনো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। তারা গোলচত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। সকাল সোয়া নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের ভেতরের বিভিন্ন রাস্তায় স্লোগান দিতে থাকেন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় শিক্ষার্থীদের দ্বারা অবরুদ্ধ ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ ও শিক্ষকরা মুক্ত করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে মুক্ত করে বাসভবনে পৌঁছে দেয় পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেকেই হল ছাড়ছেন। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
প্রভোস্টের পদত্যাগ:
এদিকে রোববার রাতে বেগম সিরাজুননেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধূরী।
প্রসঙ্গত, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে রোববার রাতে বিক্ষোভ করেন কয়েকশ সাধারণ শিক্ষার্থী।