বিনোদন ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে নব্বই দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা শেষে দক্ষিণ বনশ্রীর সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন শিল্পীর বোন জামাই প্রদীপ কুমার মিস্ত্রী।
মনি কিশোরর জানাজা এবং দাফনের সময় সংগীত অঙ্গনের তেমন কাউকে চোখে পড়েনি। শুধু গীতিকার ও সংগীত পরিচালক মিল্টন খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এমন একজন মানুষ নিরবেই চলে গেলেন পৃথিবী থেকে। সংগীত অঙ্গনে দীর্ঘদিনের পথচলায় এতো এতো সহকর্মীরা কই? দুনিয়া বড়ই স্বার্থপর!’
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা শেষে দক্ষিণ বনশ্রী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে গত শনিবার মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, চার থেকে পাঁচ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এক সময়ের জনপ্রিয় এই গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও রামপুরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
পেশাদার সংগীত জীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বড় ভাই অশোক কুমার।
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও-টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।