The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তীতে কুবিতে আলোচনা সভা

কুবি প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ও ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার ৩১১ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় কোষাধ্যক্ষ ড. আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বিশ্বে শান্তি স্থাপনের অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের পড়াশোনা করি কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধু নিয়ে পড়াশোনা করতে বলা হয় তখন একদলের চুলকানি শুরু হয়।

উপ-উপাচার্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছিল ‘জুলিও কুরি ‘। এর আগে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকা অবস্থায়ও তিনি বিশ্ববন্ধু উপাধি পান। মুজিব সবসময় নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন।

উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারাবিশ্বের জন্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সারা বিশ্বের মানুষ দুভাগে বিভক্ত। শোষক, শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার বাবার মতো দেশের শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেন, রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে দেশের শান্তি স্থাপন করেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আরমা দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত, শোষিতের পক্ষে। সারাজীবন তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা সদা তৎপর।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ , বিভাগের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
  3. বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তীতে কুবিতে আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধুর 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তীতে কুবিতে আলোচনা সভা

কুবি প্রতিনিধি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় ও ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার ৩১১ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আসাদুজ্জামান।

এ সময় কোষাধ্যক্ষ ড. আসাদুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বিশ্বে শান্তি স্থাপনের অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে 'জুলিও কুরি' শান্তি পদক প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের পড়াশোনা করি কিন্তু যখন বঙ্গবন্ধু নিয়ে পড়াশোনা করতে বলা হয় তখন একদলের চুলকানি শুরু হয়।

উপ-উপাচার্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার ছিল 'জুলিও কুরি '। এর আগে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকা অবস্থায়ও তিনি বিশ্ববন্ধু উপাধি পান। মুজিব সবসময় নির্যাতিত মানুষের জন্য কাজ করেছেন।

উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন শুধু বাংলাদেশের জন্য না সারাবিশ্বের জন্য ছিল। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সারা বিশ্বের মানুষ দুভাগে বিভক্ত। শোষক, শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার বাবার মতো দেশের শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করেন, রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়ে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করে দেশের শান্তি স্থাপন করেন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আরমা দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্যাতিত, শোষিতের পক্ষে। সারাজীবন তিনি সাধারণ মানুষের পক্ষে কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ুক দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু কন্যা সদা তৎপর।

এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ , বিভাগের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন