বগুড়ার সব কলেজে তালা লাগানোর হুমকি: ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবি
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন জেলার পদবঞ্চিত ছাত্র নেতারা। অতিদ্রুত কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি না করলে জেলার সবকটি সরকারি কলেজে তালা লাগানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। গতকাল শনিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে এভাবে হুমকি দেন পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবাইদুল্লাহ সরকার।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেতে হলে নিজ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অথচ অনৈতিকভাবে ঘোষিত কমিটিতে অন্য জেলার বাসিন্দারাও পদ পেয়েছেন। দুর্গাপূজার মণ্ডপে মদ্যপান করে মাতলামির কারণে গণপিটুনির শিকার ব্যক্তিকেও জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া ব্যক্তি জেলা ছাত্রলীগে ‘অচেনা অতিথি’। কমিটি ঘোষণার আগে জেলা ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ডে, আন্দোলন-সংগ্রামে কোনো দিনই তাঁকে দেখা যায়নি। বগুড়ার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রও নন তিনি। কমিটিতে মাদকের কারবারি, মাদকসেবী, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, সমকামী, ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ইন্ধনদাতাসহ বিতর্কিত অনেককেই পদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ওবাইদুল্লাহ সরকার আরও বলেন, অর্থের বিনিময়ে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার কথা স্বীকার করে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় এক নেতার আত্মস্বীকৃতিমূলক কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই কথোপকথনে স্পষ্ট হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ইউনিট ঘোষণারও গোপন তোড়জোড় চলছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বুলবুল, গাবতলী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বিপ্লব, দুপচাঁচিয়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম, কাহালু উপজেলার সভাপতি সৌগির আহম্মেদ রিতু, শাজাহানপুরের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।