বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের জেরে দুই অভিভাবককে বিচারকের পা ধরতে বাধ্য করার ঘটনার একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। ওই ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেদিন ঘটনার সময় কি ঘটেছিল অডিও ক্লিপটিতে উঠে এসেছে।
এই ঘটনার জেরে গুড়ার আলোচিত সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভিএম স্কুল) প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে নিজ কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক বিমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) করেছে।
ইতোপূর্বে দেওয়া প্রধান শিক্ষকের বিবৃতির সঙ্গে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের মিল না থাকায় নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে একদিন পরেই প্রধান শিক্ষককে ওএসডি করা হলো।
তাকে ওএসডি করার কোনও চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। তবে মাধ্যমিক শাখার কর্মকর্তারা তাকে ওএসডি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তাদের দাবি উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাকে ওএসডি করা হয়েছে। ওএসডির চিঠি ওয়েবসাইটে না দিয়ে সরাসরি স্কুলে পাঠানোর কথা জানিয়েছে কর্মকর্তারা।
তবে প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এমন কোনো চিঠি তিনি পাননি এবং বিষয়টি তার জানা নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে তার সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছিল।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই তদন্ত চলমান অবস্থায় ওএসডি হলেন প্রধান শিক্ষক।