তাফহিম, কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের রামুতে প্রেমের টানে এসেছেন ইতালির এক সুন্দরী তরুণী। নাম তার রুবেরুটা (২৫) । বুধবার ইতালির সার্দেনিয়া শহর থেকে রুনেক্স বড়ুয়া (২৮) নামে এক যুবকের কাছে আসেন ওই তরুণী । রুনেক্স কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপি গ্রামের বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে ইতালিতে যান রুনেক্স। সেখানে কর্মসূত্রে পরিচয় হয় ওই তরুণীর সঙ্গে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর এবার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে রুনেক্স ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, অনার্স পাসের পর ইতালি চলে যান রুনেক্স। সেখানে তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই রুবেরুটা বাংলাদেশে এসেছেন। এ মাসেই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবার কথা রয়েছে।
রুনেক্স বলেন, সেখানে একটি হোটেল রিসিপশনে কাজ করতাম আমি । সেখানে পরিচয় হয় রুবেরুটার সঙ্গে। তারপর প্রেমের শুরু। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করার জন্য। রুবেরুটা আমার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও তাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে।
ইতালিয়ান তরুণী রুবেরুটা বলেন, মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে। তাকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলো যেন এরকমই কাটে সেই প্রার্থনা করি।
রুনেক্সের ভাই শাওন বড়ুয়া বলেন, আমরা আনন্দিত। ভাই-বৌদির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবেরুটা, পরেছেন বাঙালি পোশাকও। বাংলাদেশে এসে ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ নানা জায়গায়। এলাকার লোকজন সে আসার পর থেকে তাকে দেখার জন্য আমাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।
রুনেক্সের মা সুমি বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল ঘরে বিদেশি বউ আনবো। সেটাই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। আমরা তাকে নিয়ে আমি খুব বেশি খুশি। তাদের ধুমধাম করে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রামু সদরের ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুট্টো বলেন, ইতালিয়ান মেয়েটি আমার ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড়ের হাইটুপি গ্রামের বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে ফ্রান্স প্রবাসী রুনেক্স বড়ুয়ার হাত ধরে সূদুর ইতালি থেকে রুবেরুটা প্রেমের টানে চলে এসেছেন কক্সবাজারের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপিগ্রামে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুস জানান, তারা খুবই সুন্দরভাবে জীবন যাপন শুরু করেছেন, এলাকাবাসীসহ সবাই মিলে এলাকার লোকজন বরণ করে, তারা খুব উৎফুল্ল অবস্থায় দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন।স্থানীয়রা দল মত নির্বিশেষে এই দুই দম্পতিকে দেখতে রীতিমতো বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন।