স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী সোমবার সারা দেশে এই কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগের এ ছাত্রসংগঠন।
শনিবার বিকালে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নেতারা বলেন, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ দৃঢ় ঘোষণা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এ ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি। নিরীহ-নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সঙ্গে পরিচালিত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
তারা বলেন, আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিল। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিল। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবি উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়।
নেতারা আরও বলেন, তাদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নম্বর রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নম্বর রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখন্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন। তাই বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
আগামী ৬ মে সকাল ১০টায় মধুর ক্যান্টিনে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র-সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।