মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বেসরকারি স্কুল-কলেজে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত পয়ত্রিশোর্ধ শিক্ষকদের এমপিও সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মাউশির রাজশাহীর আঞ্চলিক কার্যালয়ের এক স্মারকের প্রেক্ষিতে এই চিঠি পাঠানো হয়।
রবিবার (৩ এপ্রিল) এই মাউশি থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের মতামত জানতে এই চিঠি পাঠানো হয়।
মাউশি মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ৪ নং শর্তে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারির পূর্বে আবেদনকারীর বয়স ৩৫ বছর কিংবা তার কম হতে হবে। তবে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ইনডেক্সধারী প্রার্থী এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৩৯০০/২০১৯ মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১২ জুনের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ লাভ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য।
জনবল কাঠামো-২০২১ অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। উক্ত বিষয়টি নিয়ে মাউশির বিশেষজ্ঞ আইন উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ৩৫ বছর উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থী যাদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সাংঘর্ষিক হওয়ায় এমপিও প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। এই অবস্থায় এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে শিক্ষা সচিবের মতামত চাওয়া হয়েছে।