কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ছেলে ওচমান গণির (২২)। পাঁচ বছর আগে ওচমানের সাথে পরিচয় হয় থাইল্যান্ডের তরুণী তানিদার (৩৭) সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তাদের পরিচয় ঘটে। মেসেঞ্জারে কথোপকথন চলতে চলতে বছরখানেকের মাথায় তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অবশেষে প্রেমের টানে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে ওচমান গণিকে বিয়ে করলেন তানিদা। ১২ ডিসেম্বর ওচমানের বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ওচমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা। প্রতিদিনই তাঁকে দেখতে গ্রামের নারীরা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওচমান গণি বলেন, ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তাঁর নাম রাখা হয় খতিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় তাঁদের।
তানিদা থাইল্যান্ডে একটি চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন ওচমান গণি। তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।
এই থাই তরুণী দেশে ফিরে গিয়ে স্বামীর জন্য ভিসার আবেদন করবেন জানিয়ে ওচমান গণি বলেন, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন ওচমান। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন।
ওচমান গণি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওচমান গণি চতুর্থ। ওচমান পড়ালেখা করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত অভাবের সংসারে তার আর পড়ালেখা করা হয়নি। চাকরি করতেন মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওচমানের বাবা জাবের আহমদ জানান চাকরি চলে গেলে আজ ৯ মাস ধরে বেকার তার ছেলে।
ওচমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে।’