The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

প্রবেশপত্র না পেয়ে স্কুলের বারান্দায় ১৬ শিক্ষার্থীর অবস্থান

রাত পোহালেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সারা দেশের পরীক্ষার্থীরা যখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছ, তখন প্রবেশপত্র না পেয়ে স্কুলের বারান্দায় অবস্থান করছেন নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ পরীক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায়  অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান করছেন পরীক্ষার্থীরা।

এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহজাহান ইসলাম বলেন, আমরা প্রবেশপত্র না নিয়ে বাড়ি যাব না। কালকে আমাদের পরীক্ষা। যেখানে আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা, সেখানে আমরা স্কুলের বারান্দায় বসে আছি। স্যারের অবহেলায় আমাদের এই অবস্থা।

পরীক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার বলেন, রাত পোহালেই পরীক্ষা। কিন্তু এখনো আমি প্রবেশপত্র পাইনি। একজনের রেজিস্ট্রেশন করার পর তিনবার চেক করা উচিত। কিন্তু স্যাররা একবারও চেক করেননি। কালকে পরীক্ষা এখন বলতেছে রেজিস্ট্রেশন হয় নাই। আমি সাইন্স নিয়ে পড়ছি। এখন নাকি আমার প্রবেশপত্রে আর্টস এসেছে। আমি সেই এডমিটও হাতে পাইনি শুধু শুনেছি। এই মুহূর্তে কি ঠিক করা সম্ভব? তবুও তিনি আশ্বাস তো দেবেন আমি ঠিক করে দিব। কিন্তু উনি এই মুহূর্তে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমি সকাল ৯টার সময় স্কুলে এসেছি, কোনো পড়াশোনা করিনি।

নাসিমা আক্তার নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, যখন আমাদের ক্লাস নাইনের রেজিস্ট্রেশন হয় সেই সময় ৫০০ টাকা দিছি। তখন কিন্তু বলে নাই আমার নাইনের রেজিস্ট্রেশন হইছে কিনা। এসএসসির ফরম পূরণের সময় দিলাম ২ হাজার ২০০ টাকা। পরে আবার বললো তোমাদের ফরম পূরণের সমস্যা হইছে, এক হাজার টাকা দেও। আমি আরও এক হাজার টাকা দিলাম। এখন বলতেছে আরও ১ হাজার ৯০০ টাকা লাগবে। এত টাকা দেওয়া কি সম্ভব। এখনো আমি এডমিট হাতে পাইনি। একজন যদি আমরা এডমিট না পাই আমরা কেউ পরীক্ষা দিব না।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সকাল থেকে বাচ্চারা প্রবেশপত্রের জন্য স্কুলে পড়ে আছে। রাত হওয়ার পর বাড়ি যায় নাই দেখে নিজেই চলে আসলাম স্কুলে। সারাদিন বাচ্চাগুলা স্কুলের বারান্দায় বসেছিল মুড়ি আর চানাচুর খেয়ে।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসজেদা বেগম বলেন, আমাদের স্কুলের ১৬ জনের সমস্যা ছিল। এর মধ্যে ১১ জনের কাগজ পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ৪টা বাচ্চার সমস্যা রয়েছে। কালকে যেহেতু পরীক্ষা, বাকি বাচ্চাদের প্রিপারেশনের দরকার আছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.