জবি প্রতিনিধি: গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য (‘সি’) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বান্ধবীর কাছে প্রবেশপত্র রেখেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন নিহা নামের এক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পরে কেন্দ্রে ঢুকে আবার প্রবেশপত্রও না আনার বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডিকে জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ওই পরীক্ষার্থীর রোল নাম্বার জেনে নির্ধারিত রুমে পরীক্ষার সুযোগ করে দেন।
পরীক্ষার এক ঘন্টা আগে ওয়েবসাইট থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে সেটি তার নির্ধারিত রুমে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসির মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
জানা যায়, রাজধানীর শনির আখড়া থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসেন নিহা। যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর। আবার ভুলে বান্ধবীর কাছে প্রবেশপত্র রেখেই কেন্দ্রে প্রবেশ করে সে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশপত্র নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক থাকায় বিষয়টি নিয়ে নার্ভাসনেস কাজ করে ওই শিক্ষার্থীর।
তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নাম্বারও মনে ছিলনা। তবে মোবাইলের মেসেজে রোল নাম্বার ছিল। সেখান থেকে রোল নাম্বার দেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যেন ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নির্ধারিত রুমে তাকে পাঠান প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে প্রবেশপত্রটি প্রিন্ট করে ওই শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন জবি প্রক্টর ৷ এতে শঙ্কা কাটিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নিহা।
পরীক্ষা শেষে নিহা বলেন, আমি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছি পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিটি পরে। আমার রোল মনে ছিলনা তবে মোবাইলে রোল নাম্বারের মেসেজটা ছিল। সেটা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে প্রবেশপত্রের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। দেরিতে হলেও পরীক্ষা দিতে পেরে আমি খুশি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ওই শিক্ষার্থীর রোল নাম্বারও মনে ছিলনা। পরে মোবাইলের মেসেজ থেকে রোল নাম্বার জানা যায়। যেহেতু নির্ধারিত সময়ের পর সে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিল তাই তাকে প্রথমে নির্ধারিত রুমে পাঠানো হয়েছে। পরে আইসিটি সেলের সহযোগী পরিচালক জুলফিকার মাহমুদ স্যারের সাহায্যে প্রবেশপত্রটি প্রিন্ট করে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও বিএনসিসির মাধ্যমে প্রবেশপত্রও পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থী যেন পরীক্ষা মিস না করে সেটিই চেয়েছি।