আল-মাহমুদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রবাসী আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার ফোরামের উদ্যেগে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪ ঘটিকায় গ্রাউন্ডস ক্যাফেতে অনুষ্ঠিত হয়। বেইলী রোডের গ্রাউন্ডস ক্যাফেতে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য এবং প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সমন্বয়ক স্থপতি খায়রুল আলম সাগর, বিশেষ অতিথি – সউদী আরব আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোমতাজ চৌধুরি।
সভাপতিত্ব করেন তুরস্ক আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ‘প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচারণা ফোরাম এর প্রধান সমন্বয়ক এম এ ফারুক প্রিন্স, উপস্থাপনা করেন -ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য ও প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচারণা ফোরাম এর সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ফরাজি (সিআইপি) এবং গ্রীস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মোহাম্মাদ রিপন ফকির।
নির্বাচনী প্রচারণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন – কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও ‘প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সমন্বয়ক জনাব মোহাম্মদ আলিম উল্লাহ খোকন, মালেশিয়া আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ‘প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সমন্বয়ক জনাব এম রেজাউল করিম রেজা, ইতালি আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সম্মানিত সদস্য জনাব হাজী মিজান প্রধান, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সসম্মানিত সদস্য জাহানারা বাশার, তুরুস্ক আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম এর সম্মানিত সদস্য শেখ আজিম সিরাজ, সাবেক সভাপতি ইতালি আওয়ামীলীগ ভারেজ প্রভিন্স, সদস্য প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী প্রচার ফোরাম। শাহ আলম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মালয়েশিয়া শ্রমিক লীগ ও সদস্য প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচন প্রচার ফোরাম।
কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, প্রবাসী আওয়ামী নির্বাচনী ফোরাম এর সদস্য প্রদিপ কুমার দাস সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তার পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়েছে।
প্রধান অতিথি- ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্য বলেন -দেশ ও বিশ্ব পরিমন্ডলে শেখ হাসিনা আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এক সময়ের ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশটি আজ আবির্ভূত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বিমোচন নিশ্চিত করে বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে রয়েছে তাঁর নজর। নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর করার জন্য সকল প্রবাসীর প্রতি আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি- স্থাপিত খায়রুল আলম সাগর তার বক্তব্য বলেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভের পর বাংলাদেশের শাসনভার নিজের কাঁধে নিয়ে যে শান্তি ও প্রগতির রাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে একই নীতি অনুসরণ করে এগিয়ে চলেছেন সামনে। ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ বিশ্বশান্তির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর এই অমোঘ নীতিই এখনো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র। এই মূলমন্ত্রের ওপর ভর করেই সকল বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এদেশের সর্বকালের সফল প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তাই নৌকায় ভোট ছাড়া কোন বিকল্প কিছু নেই।
প্রধান সমন্বয়ক এম এ ফারুক প্রিন্স বলেন- আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন রীতিমতো বিস্ময়কর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বড় বড় সংস্থা থেকে তিনি পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি। শান্তির প্রচার, অনুসন্ধান ও সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কো থেকে পেয়েছেন ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার। অর্জন করেছেন ‘মেডেল অব ডিস্টিংশন’ ও ‘হেড অব স্টেট’ পদক। বিশ্ব শান্তির দূত হিসাবে সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ থেকে পেয়েছেন ‘মাদার তেরেসা পুরস্কার’। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দূরদর্শী ভূমিকার জন্য বিশ্বের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ অর্জন করেছেন। খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন প্রতিশ্রুতি তাকে এনে দিয়েছে ‘দ্য সিরিস মেডেল’। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ভূষিত হয়েছেন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ সম্মানে। অর্জন করেছেন জাতিসংঘের ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’। নারী রাজনীতিবিদদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক উইমেন পলিটিক্যাল লিডার্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভূষিত করেছে ‘রিজিওনাল লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ডে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা রেখে তিনি হয়ে উঠেছেন ‘স্টেটম্যান’। বিশ্বনেতৃত্ব শেখ হাসিনা বলে ‘স্টার অব ইস্ট’। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক তাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দিয়ে ‘মুকুট মণি’ অভিধায় ভূষিত করেছে।
বিশ্বনেতারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারি চিন্তা-চেতনার ফলেই বাংলাদেশে সব দিক থেকে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পেছনে তারা শেখ হাসিনার ভূমিকাকে বড় করে দেখছেন। নেতাদের বক্তব্যে শেখ হাসিনার সরকারের এই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি ও সফলতার প্রশংসা উঠে আসে। মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেও বিশ্বনেতারা মন্তব্য করেন। বৈশ্বিক সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপেরও তারা প্রশংসা করেন। আসুন সকল প্রবাসী মিলে নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ।
সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ফরাজি (সি আই পি) বলেন- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিকাশে তার কোনো বিকল্প নেই শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, ঐকান্তিকতা, যুক্তিবাদী মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে অন্যরকম উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি বিশ্বনন্দিত নেত্রী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
শেখ হাসিনার শাসনামলকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়। জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, সামরিক ও আধাসামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম-সফলতা। জাতির পিতার হত্যাকারী ও মুক্তিযুদ্ধের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের সড়কে নিয়ে আসা।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ ও বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার। তিনি প্রবাসীদের কে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানান।
সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খোকন তার বক্তব্য বলেন – উন্নয়নে, সংগ্রামে এবং সেবায় আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে থাকে।আমি বিশ্বাস করি,স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে বাংলাদেশের জনগণ থাকবে।
সমন্বয়ক, প্রচার ও দপ্তর মোহাম্মাদ রিপন ফকির বলেন- মানুষ এখন বিশ্বাস করে, ঘরের কাছেই সব ধরনের সেবা পাওয়া সম্ভব। মানুষের এই বিশ্বাস অর্জন ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলায় সবচেয়ে বড় পাওয়া। নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ, ধনী-দরিদ্র-নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা, শহর ও গ্রামের সেবা প্রাপ্তিতে দূরত্ব হ্রাস করা সবই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ও প্রযুক্তির কল্যাণে এখন গ্রামে বসেই যে কেউ চাইলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে পারছে। এ সবই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতির ফলে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার সফলভাবে বাস্তবায়নের পর এখন নতুন কর্মসূচি এসেছে। সেটি হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি মূল ভিত্তির ওপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ।শেখ হাসিনা যা কিছু করেছেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ করেনি। তিনি দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেল, ফোর লেন ও এইট লেনের রাস্তা করেছেন। তিনি বা তার দল ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই আস্থা আমাদের রাখতে হবে। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।