প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে ভারতীয় অর্থায়নে নির্মিত কয়েকটি প্রকল্প হস্তান্তর করা হবে।
দিল্লি সফর সামনে রেখে এখন পর্যন্ত চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে উভয় পক্ষ। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে একটি সমঝোতা সই হবে। সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ ভারত থেকে কুশিয়ারা নদীর ১৫৩ কিউসেক পানি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট-সেপা) সইয়ের ঘোষণা আসতে পারে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে আরও গতি আসবে।
ঢাকা ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও ভারতের ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে এক সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের আইনি কাঠামো প্রায় একই। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের বিচার বিভাগের সহযোগিতা বাড়াতে একটি সমঝোতা সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের সরকারী টেলিভিশনের মধ্যে সহযোগিতা ও সমুদ্র অর্থনীতি বিকাশে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক। নেপাল থেকে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে একটি চুক্তি সই হতে পারে। দুই দেশের রেলওয়ে খাত বিকাশে দুটি সমঝোতা স্মারক হতে পারে। এছাড়া রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট সমাপ্তির ঘোষণা দেবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে জ্বালানি নিরাপত্তা খাতেও সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। উভয়পক্ষের সম্মতিতে এ বিষয়ে চুক্তি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফর করবেন। এ সফর সামনে রেখে এসব চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি চলছে।