রাবি প্রতিনিধি: ‘আসুন নাচে গানে কবিতায়, মিলি শীতের উৎসবে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শীতের কুয়াশা ও সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে প্রথম বারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালিত হচ্ছে ‘কুয়াশা উৎসব’।
শুক্রবার (২রা ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক সংঘ’র এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনের আমতলায় এ উৎসব শুরু হয়।
আয়োজকরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মতো কুয়াশা উৎসব শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুয়াশা উৎসবে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হবে নান্দনিক বাংলা গান, লোকগান, পাহাড়ি গান, ধ্রুপদী নাচ, কবিতা আবৃত্তি ও ধ্রুপদী বিতর্ক। পরবর্তী বছরে আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করার আশা ব্যক্ত করেন আয়োজক কমিটি।
কুয়াশা উৎসব অনুষ্ঠানের সহযোগী সমন্বয়ক রেজওয়ানুল আলম রিজভী বলেন, নাগরিক জীবনে এখন মানুষ কুয়াশা খুব বেশি দেখতে পায় না। এ ছাড়া আমাদের প্রত্যেকেরই শীত নিয়ে রয়েছে শৈশব স্মৃতি। শীতে নবান্ন ঘিরে গ্রামে গ্রামে হতো নানা আয়োজন। সেসব স্মৃতি আমাদের জীবনে চলার সঙ্গী হয়ে থাকে। কুয়াশা উৎসবে আমরা সবাই সেসব দিনের স্মৃতিও মন্থন করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা আয়োজন কুয়াশা উৎসব পালন করছি। তাই এটি একটি সান্ধ্য সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি। এরপর থেকে প্রতি বছর এই উৎসবটি আমরা পালন করবো।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক শেখ সেমন্তী বলেন, একজন শিক্ষার্থীকে শুধু লেখাপড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে সংস্কৃতি মনা হওয়া জরুরি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি সংস্কৃতি এমন একটি সেতু বন্ধন যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্ন উৎসব, পিঠা উৎসবসহ আরো অনেক উৎসব হয়। কিন্তু আজকের উৎসবটি একটু ভিন্ন। এমন একটি চমৎকার ও সুন্দর আয়োজন করার জন্য আয়োজক কমিটিকে সাধুবাদ জানান তিনি।