রাবি প্রতিনিধি: ইমো হ্যাকিং এর মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার দায়ে আটককৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থীসহ ৩জনকে একদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির পুলিশ উপপরিদর্শক মো. হোসেন পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া ওই তিনজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজোয়ান ইসলাম ও সাকিব খান এবং অপরজনের নাম রবিন আলী।
১২ নভেম্বর রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার চকপাড়া এলাকা থেকে মেসে থাকাকালীন তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
জানা যায়, ইমো হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় লাইলি বেগম নামে এক নারী গত জানুয়ারিতে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, লাইলি বেগমের স্বামীর নাম রুহুল আমিন যিনি একজন ওমান প্রবাসী। তার স্বামী ওমানে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে, এমন দাবি করে প্রতারক চক্র লাইলি বেগমকে ফোন দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। তাদের কথামতো স্বামীকে ছাড়াতে ৫১ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠান তিনি। পরে লাইলি বেগম বুঝতে পারেন প্রতারক চক্রের মাধ্যমে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাই অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে রবিন আলীকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর সকালে রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার চকপাড়া এলাকার একটি মেস থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রেজোয়ান ও সাকিবকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় সিটিটিসি।