করোনার কারণে বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সশরীরে ক্লাস আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হবে। আজ রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ০১ মার্চ শবে মেরাজ হওয়ায় ০২ মার্চ ২০২২ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালু হবে।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ৩ ফেব্রুয়ারির নির্দেশনা মোতাবেক ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি/বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকবে। আগামী ২ মার্চ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা ও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা গেল।
এদিকে আগামী ১ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় সচিব আরও বলেন, ১ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। সেই সঙ্গে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে থাকবেন না করোনার বিধিনিষেধ।
অন্যদিকে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমে আসায় ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে মন্ত্রিসভায়। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৩ জানুয়ারি সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে ২১ জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসহ আরও পাঁচ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। সম্প্রতি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলো, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে সব শিক্ষার্থী এই সুযোগ পাবে না। যারা দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন তারাই শুধু সশরীরে ক্লাস করতে পারবে। বাকীদের অনলাইনে ক্লাস করতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে ১ মার্চ থেকে। তবে এখনো প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি।