রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ও কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ও বুধবার (৬ মার্চ) সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ দুই ইউনিটে এখনো পর্যন্ত প্রক্সিকান্ডের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিগত বছরগুলোতে প্রক্সিকাণ্ডের ঘটনায় জর্জরিত থাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা।
গতবছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও তাকে সহায়তাকারী রাবি ছাত্রলীগের নেতাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও আটক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মা রেহেনা বেগম জড়িতদের নাম উল্লেখ করে নগরের মতিহার থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী মো. আহসান হাবিব (১৯), আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. প্রাঙ্গন (২২), রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় (২৪), বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই- বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রাজু আহমদ(২৩), মো. সাকিবসহ (২৪) আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
জানা যায়, ভর্তি জালিয়াতি গ্রুপের সঙ্গে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করে আহসান হাবীব নামক ওই শিক্ষার্থী।
এ বছর প্রক্সিকাণ্ড ঠেকাতে প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বছর প্রক্সিকাণ্ডের মতো কলঙ্কজনক ঘটনা যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার কয়েক পর্যায়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করেছে। এ বছর সেলফি সিস্টেমও যুক্ত করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে গতকাল ‘সি’ ইউনিট ও আজ ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা প্রক্সিকাণ্ড মুক্তভাবে সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী পরীক্ষাগুলোতেও এ বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাবাসসুম কবীর তন্দ্রা বলেন, প্রতি বছর রাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সিকাণ্ডের কথা আমরা শুনি যা আমাদের জন্য অনেক লজ্জার। কিন্তু এ বছর দুইটা ইউনিটের পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে তবে প্রক্সিকাণ্ডে কেউ জড়িত এমন সংবাদ এখনো শুনিনি। এটা খুবই ভালো লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সতর্ক অবস্থানের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি।