বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহবানে আবারও অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতিতে ছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার দাবিতে বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের নিচে ঘণ্টা ব্যাপি কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
উক্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান, হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায়সহ বিভিন্ন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ।
গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুতি সুপার গ্রেড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ২৫ জুন, ২৬ জুন ও ২৭ জুন টানা ৩ দিন কর্মবিরতি ও ১ ঘণ্টা ব্যাপি অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২য় দিনের মতো অংশগ্রহণ করে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
অবস্থান কর্মসূচিতে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: সাইফুর রহমান বলেন, “শিক্ষকদের দাবি মানা না হলে চলমান জিএসটি ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করবে “।
হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায় বলেন,” ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এক অনন্য ভূমিকা রাখেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর নিটক আবেদন জানাই দেশের মানবসম্পদ তৈরির কারিগরদের দাবায়ে রাখার এই পেনশন স্কিম বাতিল করা হোক “।
এছাড়াও হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা কামনা করে জানান, “শিক্ষার্থী আমাদের সন্তানতূল্য। তাদের পড়াশোনার ক্ষতি চাই না। দাবি আদায় হলে আমরা দ্রুতই ক্লাস কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই। প্রয়োজন শুক্রবার শনিবার অনলাইন অথবা অফলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্পূর্ণ করবো। তবে আমরা চাই বৈষম্যমূলক এই পেনশন স্কিম বাতিল হোক এবং শিক্ষকদের সম্মান বজায় থাকুক”।