The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ, এস, এম সাইফুল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মাসুদার রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপন (এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪, তারিখ। ২৬ ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ /১০ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে।

যেখানে বলা হয়েছে “সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করিবেন, তাহাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল”। হঠাৎ করে, এ ধরনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অমর্যাদাকর। বিশ্ববিদ্যালয় বাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। আর এই বিদ্যাপীঠসমূহে যাঁরা শিক্ষকতা পেশায় আছেন, তাঁরা দেশ-জাতি-সভ্যতাগঠন এবং জাতির মেধা বিকাশের অনন্য রূপকার। এ শিক্ষক সমাজ স্ব-মহিমায় বিশুদ্ধ জ্ঞান, মানবিক আর নৈতিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত এবং দীক্ষিত করে গড়ে তোলেন দেশের যোগ্য নাগরিক। অথচ তাঁদেরকে এই ধরনের বৈষম্যমূলক পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা সংক্রান্ত এই পরিকল্পনা ও প্রজ্ঞাপন শিক্ষকদের মাঝে চরম হতাশা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করেছে। সর্বজনীন নাম দেওয়া পেনশন স্কিম সর্বজনীন না করে বরং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এরূপ বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন ব্যবস্থা চালু করার তীব্র বিরোধিতা করছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এ ব্যাপারে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ, এস, এম সাইফুল্লাহ বলেন, প্রজাতন্ত্রের অন্য সকল কর্মচারীদের প্রচলিত পেনশন সুবিধার আওতায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা একটি মর্যাদাহানিকর, দুরভিসন্ধিমূলক হঠকারী সিদ্ধান্ত। একটি মহল সবসময় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে যেমন অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তেমনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রচলিত পেনশন সুবিধা বহাল এবং সাথে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জোর দাবী জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদার রাহমান বলেন, এ ধরনের বৈষম্যমুলক নীতি মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত করবে। মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন পূরণ বাধাগ্রস্ত হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.