The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪

পুনরায় কার্যক্রম শুরু করছে ইভ্যালি

#ইভ্যালি

নতুন উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। নতুনরূপে পথচলার শুরুতেই ধন্যবাদ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২৮ অক্টোবর, শুক্রবার রাত ১০টায় ইভ্যালি প্ল্যাটফর্মে শুরু হবে এই উৎসব আয়োজন। ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সাথে আমরা আমাদের অতীতের সব দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন দুই জন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।

আরও জানা গেছে, ধন্যবাদ উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের অনেক নামিদামি আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সেখানে থকবে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।

পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির পদ্ধতির যেকোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রহকগণ। এছাড়া ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির বিপরীতে একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে পরবর্তীতে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য অফার দেবে ইভ্যালি।

ইভ্যলির শামীমা নাসরিন আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখন থেকে ইভ্যালি আর লসে পণ্য বিক্রি করবে না। তবে গ্রাহকরা যে আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না তা কিন্তু নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও গতানুগতিক বাজারের তুলনায় আমরা গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে ইভ্যালি বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি ও গ্রাহক সেবার দিকেই আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবো। আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগবান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি। একই সাথে আমরা আগের সব অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি।

অভিযোগ করা হয়, অস্বাভাবিক সব অফার দিয়ে দেশে ‘আলড়ন’ সৃষ্টি করেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। যার এর ফলে দায় বেড়ে একদম খাদের কিনারায় এসে পৌছে প্রতিষ্ঠানটি। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা অর্ডার করে ঠিক সময় পণ্য না পেয়ে মামলাও করেছেন । এসব অভিযোগ আর অনিয়মের পর গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী। দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় ইভ্যালি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.

  1. প্রচ্ছদ
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. পুনরায় কার্যক্রম শুরু করছে ইভ্যালি

পুনরায় কার্যক্রম শুরু করছে ইভ্যালি

নতুন উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। নতুনরূপে পথচলার শুরুতেই ধন্যবাদ উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২৮ অক্টোবর, শুক্রবার রাত ১০টায় ইভ্যালি প্ল্যাটফর্মে শুরু হবে এই উৎসব আয়োজন। ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন বলেন, সময়ের সাথে আমরা আমাদের অতীতের সব দেনা পরিশোধ করতে পারবো বলে জোরালোভাবে বিশ্বাস করি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন দুই জন স্বাধীন পরিচালক আছেন। একজন ই-ক্যাব থেকে এবং একজন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। কাজেই এখন আমরা আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতার মধ্যে আছি।

আরও জানা গেছে, ধন্যবাদ উৎসবে ইভ্যালি থেকে কেনা যাবে দেশের অনেক নামিদামি আর বড় ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য। মোবাইল, কম্পিউটার এক্সেসরিজ, ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সেখানে থকবে পোশাক-জুতার মতো লাইফস্টাইল পণ্য।

পিক অ্যান্ড পে, ক্যাশ অন ডেলিভারি এবং ক্যাশ বিফোর ডেলিভারি; মূল্য পরিশোধের এই তিনটির পদ্ধতির যেকোন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে ইভ্যালি থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন গ্রহকগণ। এছাড়া ইভ্যালি থেকে কেনাকাটায় প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির বিপরীতে একটি ‘স্টার’ পাবেন গ্রাহকেরা। অর্জিত স্টার ব্যবহার করে পরবর্তীতে বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনাকাটার জন্য অফার দেবে ইভ্যালি।

ইভ্যলির শামীমা নাসরিন আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখন থেকে ইভ্যালি আর লসে পণ্য বিক্রি করবে না। তবে গ্রাহকরা যে আকর্ষণীয় মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন না তা কিন্তু নয়। আমরা বিশ্বাস করি ডিজিটাল বাংলাদেশের অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সকে ব্যবহারের মাধ্যমে লাভ করে পণ্য বিক্রি করলেও গতানুগতিক বাজারের তুলনায় আমরা গ্রাহকদের ‘বেস্ট প্রাইস’ দিতে পারবো। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য ও গুণগত পণ্য সরবরাহ করতে ইভ্যালি বদ্ধপরিকর। কুইক ডেলিভারি ও গ্রাহক সেবার দিকেই আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবো। আমরা ইভ্যালিকে সর্বোচ্চ বিনিয়োগবান্ধব ই-কমার্স তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছি। একই সাথে আমরা আগের সব অর্ডার ডেলিভারি করতে কাজ করে যাচ্ছি।

অভিযোগ করা হয়, অস্বাভাবিক সব অফার দিয়ে দেশে ‘আলড়ন’ সৃষ্টি করেছিল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। যার এর ফলে দায় বেড়ে একদম খাদের কিনারায় এসে পৌছে প্রতিষ্ঠানটি। ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা অর্ডার করে ঠিক সময় পণ্য না পেয়ে মামলাও করেছেন । এসব অভিযোগ আর অনিয়মের পর গত বছর সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার হন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী। দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বন্ধ হয়ে যায় ইভ্যালি।

পাঠকের পছন্দ

মন্তব্য করুন