জেরার্ড পিকে ও শাকিরার বিচ্ছেদের পরেও তাঁদের তিক্ততা বেড়ে চলেছে। এ বার তাঁর ও পিকের বাড়ির মধ্যে একটি দেওয়াল তুলেছেন শাকিরা। শুধু তাই নয়, শাকিরার বাড়ি থেকে ভেসে আসা গানের আওয়াজে তাঁদের থাকতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পিকের মা।
বার্সেলোনায় একই কমপ্লেক্সে বাড়ি রয়েছে পিকে ও শাকিরার। পিকে অবশ্য সেখানে বেশি থাকেন না। তাঁর বাবা-মা থাকেন। এত দিন বাড়ি দু’টির মধ্যে কোনও প্রাচীর ছিল না। কিন্তু কিছু দিন আগেই প্রাচীর উঠতে দেখা গিয়েছে। বার্সেলোনার একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, শাকিরা সেই প্রাচীর তৈরি করিয়েছেন। তার ফলে বাড়ি দু’টির প্রবেশ পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছেদের পরে পিকের বাবা-মায়ের মুখও হয়তো দেখতে চাইছেন না শাকিরা। এই কাজ থেকে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।
অন্য দিকে শাকিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন পিকের মা। তিনি জানিয়েছেন, একটি কালো রংয়ের ম্যানিকুইন তাঁদের বাড়ির দিকে মুখ করে বসিয়েছেন শাকিরা। ম্যানিকুইনটি দেখে মনে হচ্ছে পিকের। তাঁরা বার বার সেটি সরিয়ে নিতে বললেও শাকিরা সরাননি। এ ছাড়া প্রায় প্রতি রাতেই নাকি নিজের বাড়িতে পার্টি করছেন শাকিরা। সেখানে পিকেকে খোঁচা মেরে তাঁর গাওয়া গান সজোরে বাজছে। এতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করার পরেও শাকিরা সেই কথা শোনেননি বলে অভিযোগ করেছেন পিকের মা।
গত বছরই বিচ্ছেদ হয়েছে স্পেনের প্রাক্তন ফুটবলার পিকে এবং শাকিরার। গত বছর বিবৃতি জারি করে পিকে-র সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন শাকিরা। কারণ হিসাবে জানিয়েছিলেন, পিকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অন্য এক মহিলার। পরে জানা যায়, এক টিভি চ্যানেলে কর্মরতা ক্লারা চিয়া মার্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে পিকের। তার পরেই নতুন গানে নিজের প্রাক্তন স্বামীর সমালোচনা করেছেন শাকিরা। নতুন গানে ছত্রে ছত্রে পিকে-কে বিঁধেছেন কলম্বিয়ান গায়িকা।
শাকিরার গানে বিভিন্ন কথা রয়েছে, যা পিকের উদ্দেশে লেখা বলে মনে করছেন অনেকে। সেখানে বলা হয়েছে, “টুইঙ্গো গাড়ি (কম দামি গাড়ি) কেনার ক্ষমতা যার, সে নাকি ফেরারি (বিলাসবহুল গা়ড়ি) কিনতে এসেছে।” আর একটি লাইনে বলা হয়েছে, “ক্যাসিয়োর ঘড়ি (কম দামি) পরার সামর্থ্য নেই, সে কিনতে গিয়েছে রোলেক্স (বহুমূল্য ঘড়ি)।” অপর একটি লাইনে বলা হয়েছে, “আমার মতো নেকড়েজাতীয় মহিলা তোমার মতো পুরুষের জন্য নয়।”
বিচ্ছেদের পর শাকিরা এক সংবাদপত্রে জানিয়েছিলেন, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যা করা দরকার তা পিকে করেননি। বলেছিলেন, “ও মন দিয়ে ফুটবল খেলতে চেয়েছিল এবং আমার দরকার ছিল ওর পাশে দাঁড়ানো।” কাউকে না কাউকে আত্মত্যাগ করতেই হত। আমিই সেটা করেছি। নিজের কেরিয়ারকে পিছনে ঠেলে দিয়ে স্পেনে এসেছিলাম এবং ওর পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, যাতে ও ভাল ফুটবল খেলতে পারে এবং ট্রফি জিততে পারি। ভালবাসার জন্যেই এই আত্মত্যাগ করেছিলাম। সেটার মূল্য ও দেয়নি।” [সূত্র: আনন্দবাজার]