ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শুধু তারাই নন, দলটির সঙ্গে শোবিজ অঙ্গনের যে শিল্পীরাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন গা ঢাকা দিয়েছেন তারাও। আত্মগোপনে থাকা সেসব শিল্পীদের উদ্দেশে এবার কথা বলেছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী।
গত ১৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, যারা ফিল্ম এবং সংগীতের আর্টিস্ট, তাদের নিয়ে আজকে কথা বলব এবং যারা। সরকার পতনের পর যারা পালিয়ে আছো, লুকিয়ে আছো- তাদের উদ্দেশে এই কথাগুলো বলছি।
ওমর সানী বলেন, তোমাদের পালিয়ে থাকার তো দরকার নেই। তোমরা দল করেছ, দলের সঙ্গে জড়িত ছিলে। মাঝেমধ্যে কিছু পকপক করেছো, এই যা। মার্ডার তো করো নাই, মার্ডার করছো? হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করছো? জানি না। আমার মনে হয় পালিয়ে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে এসে কথা বলা উচিত। কিছু মানুষ গালি দিবে, সেটা সহ্য করতে হবে। কিছু মানুষ বিদ্রূপ করবে, কিন্তু তোমাদের ভুলগুলো দোষগুলো স্বীকার করতে হবে।
চিত্রনায়ক আরও বলেন, পালিয়ে না থেকে আমার মনে হয় প্রকাশ্যে এসে তোমরা বলো যে, আমরা অমুকটা করেছি, যা ঠিক হয়নি। অপরাধ করে থাকলে বিচার হবে, বড়জোর কিছুদিন রিমান্ডে থাকতে পারো। আমার তো মনে হয় না তোমাদের যে অপরাধ, তার জন্য ফাঁসি হবে। যারা কাপুরুষ, তারা পালিয়ে থাকে। তোমরা শিল্পীরা কেন পালিয়ে থাকবে!
তিনি বলেন, আমার ফিল্মের সহকর্মী, আর্টিস্ট টেকনিশিয়ানস, তোমরা যারা পালিয়ে আছো, তোমাদের তো পালিয়ে থাকার দরকার নেই। প্রকাশ্যে এসে দরকার হলে জেলে যাও। জেলে তো রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি থেকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ, অনেকেই যায়।
পালিয়ে থাকার চেয়ে জেলখানায় থাকাও ভালো। সেজন্যই বলি, পালিয়ে থাকার চেয়ে প্রকাশ্যে এসে মানুষের সঙ্গে কথা বলো। ধরা দাও, দরকার হলে জেলে যাও। আমার দৃষ্টিতে এটাই বলে, কার দৃষ্টিতে কী বলবে আমি জানি না। আমার কাছে মনে হয়েছে, তোমাদের উদ্দেশে এটা বলা উচিত, আমি বললাম। এবং প্রকাশ্যেই বললাম, কে কী ভাবছেন- আমি জানি না।
সবশেষে অভিনেতা বলেন, একটা জিনিসতো সত্য, যে যে লাইনের মানুষ, সেই লাইনের মানুষের প্রতি তার তো একটা সফটকর্নার কাজ করেই। আমরা কেউ দোষের ঊর্ধ্বে না। আমাদের দোষ থাকতে পারে, কেউ দোষের ঊর্ধ্বে না। তাই বলি, লুকিয়ে থেকে লাভ নেই।