The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে ৯ দফা দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি

পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তা কর্মচারীদের নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি ও এডহক ভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগ সহ ৯ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের একাংশ।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

কর্মকর্তাদের ৯ দফার দাবিগুলো হলোঃ ১/নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশন/পদোন্নতির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন/পদোন্নতির দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান; ২. এডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদান; ৩. কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা সংশোধন; ৪. কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন; ৫. কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটি, লিয়েন ছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি (হয়রানি ব্যতিত) প্রদান: ৬. কর্মকর্তাদের সুযোগে-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, কিন্তু সুযোগে-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করা; ৭. প্রয়াত ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলামের সহধর্মিনীর চাকরির ব্যবস্থা করা; ৮. ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপকমিটিতে সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করা এবং ৯. ৪% গৃহ নির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডন বলেন, গত ৭ মে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আমাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারক লিপি জমা দেই। উপাচার্য আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়নের কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি করেননি। অন্যায়ভাবে আমাদের অনেকগুলো পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে, উপাচার্য বলছেন সেসব পদোন্নতি দেওয়া সম্ভব না। আজকে পদোন্নতির একটা বোর্ড রয়েছে রয়েছে যেখানে তিনজন শিক্ষককে পদোন্নতি দেওয়া হবে। গতকালকে আমরা উপাচার্যকে বলেছি আমাদের পদোন্নতিগুলো দেওয়ার জন্য কিন্তু উনি বলেছেন পারবেন না। যার কারণে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে মাঠে নেমেছি।

কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের অনেকগুলো পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। উপাচার্য পছন্দের মানুষদের পদোন্নতি দিচ্ছিন। সব সুযোগ সুবিধা উপাচার্যের কাছের মানুষজনই পাচ্ছেন। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছি। দাবি আদায় না করে মাঠ ছাড়বোনা।

এ বিষয়ে উপাচার্যের পক্ষ থেকে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বরাবর তাদের কতগুলো দাবি দাওয়া দিয়েছন, সেগুলো নিয়ে তারা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এই অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। উপাচার্য মহোদয় তাদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ করছেন আশা করি শীঘ্রই বাস্তবায়ন হবে।

সকালে অবস্থান কর্মসূচির জন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়ো হওয়া শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে প্রবেশের বাধা দেয়। এরপর উপাচার্যের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা লিটনের সাথে কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ ডনের সাথে ধস্তাধস্তি করেন বলে অভিযোগ করেছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
কর্মকর্তাদের অভিযোগ উপাচার্যের নিরাপত্তা রক্ষীরা কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলেছেন, কলার চেপে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর পরই প্রশাসনিক ভবনের সামনে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করে। এ সময় কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রশাসনকে নিয়ে নানান স্লোগান দিতে শুরু করে।

তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তোলার যে অভিযোগটি দেওয়া হয়েছে সেটি সত্য নয়। এ ধরনের কোন ঘটনা সকালে ঘটেনি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.