The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে সপ্তাহব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর‘ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলা বিভাগ আয়োজিত সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এর পর কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাউদ্দীন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, বিজয়ের মাস চলছে। আর এই বিজয়ের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ অত্যন্ত সুন্দর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যার জন্য আমি বাংলা বিভাগকে অভিনন্দন জানাই। এই বর্ণিল আয়োজনে আমি আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন,দেশের বিজয়ের সঙ্গে আমাদের মানসিকতার,আমাদের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও চিন্তার বিজয় হয়েছে।এই বিজয়টাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের বড় কাজ। আমাদের বিজয়,স্বাধীনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা যখন চিন্তায় মননে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবো তখনই আমরা স্বাধীনতা পাবো। আমরা শুধু ভৌগলিক স্বাধীনতাই পাইনি বরং আমরা চিন্তার স্বাধীনতাও পেয়েছি।

বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মীর হুমায়ুন কবীর বিপ্লব বলেন, আমি আজকের দিনে অত্যন্ত আনন্দিত। এই আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে একসাথে পেয়েছি সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার সরকার, প্রক্টর মো. কামাল হোসাইন, সহকারী প্রক্টর মো. মাসুদ রানা, ড. মো. লোকমান আলীসহ বাংলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সাংস্কৃতিক সপ্তাহ ও বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. এম আবদুল আলীম জানান, বাংলা বিভাগ সব সময় এদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে লালন করে। আমরা এমন আয়োজন করতে পেরে সত্যি আনন্দিত। সংগীত, নৃত্য, বিতর্ক, আবৃত্তি, অভিনয় এসবের মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করতে পারবেন বলে আমরা আশা করছি।

সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে থাকছে সংগীত, নৃত্য, বিতর্ক, আবৃত্তি, অভিনয়, রচনা এবং সুন্দর হস্তলিপি প্রতিযোগিতা। সমাপনী দিবসে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.