পাবিপ্রবি প্রতিবেদকঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ক্যারিয়ার ও উদ্যোক্তা বিষয়ক দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে ‘ক্যারিয়ার এন্ড এন্টারপ্রনারশীপ ক্লাব (পাস্ট সিইসি)’ যাত্রা শুরু করেছে। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সংগঠনটির আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
পাস্ট সিইসি ক্লাবের লক্ষ্য হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও উদ্যোক্তা বিষয়ে সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান। ক্লাবটি উদ্যোক্তা বিষয়ক কর্মশালা, সেমিনার, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজি, স্টার্টআপ লঞ্চিং, ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট, জব ফেয়ার, হ্যাকাথন, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং ইন্টার্নশিপ সুবিধা প্রদান করবে। এছাড়া, দেশ সেরা উদ্যোক্তারা শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শেখাবেন এবং দক্ষ করে তুলবেন।
ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জেড,এইচ,এম খাইরুল বাসার বলেন, আজ আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে, দীর্ঘ প্রচেষ্টা, অগণিত পরিশ্রম ও সবার সম্মিলিত সহযোগিতার মাধ্যমে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক কর্মজীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য অতিরিক্ত দক্ষতার বিকাশ গঠনে এই ক্লাবটি ভূমিকা রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, এই ক্লাব আমাদের সকলের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করবে।
ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আনোয়ার হোসেন। এবং অন্য উপদেষ্টা হলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ মতিউর রহমান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ রাহেদুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ মোঃ লোকমান আলী, স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজয় দাশ গুপ্ত, , ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস. এম. শাহেদুল আলম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মিরাজ হোসেন, নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের প্রভাষক সাইমুন্নাহার রিতু।
শিক্ষার্থীরা জানান, উদ্যোক্তা ক্লাব গঠনে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা চাকরী করতে চাই কিন্তু উদ্যোক্তা হতে চাই না। আশা করি এই সংগঠনটি আমাদেরকের সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে ।
ক্লাবের উপদেষ্টা ও শিক্ষকরা বলেন, “এই ক্লাব পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিখে ভবিষ্যতে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।”