ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে দুই শিশু নিহত হয়েছে। বেলুচিস্তান প্রদেশে হওয়া এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। হামলার পর ইরানকে ‘গুরুতর পরিণতির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের শীর্ষ কূটনীতিককেও তলব করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ‘অবৈধ’ হামলায় দুই শিশু নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার ভোরে জানিয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানাতে ইসলামাবাদে নিযুক্ত তেহরানের শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করেছে দেশটি।
এদিকে বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এই ঘটনার ‘গুরুতর পরিণতি’ হতে পারে এবং এটি ‘সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য’।
বিবৃতিতে হামলাটি কোথায় হয়েছে তা বলা হয়নি, তবে পাকিস্তানের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বেলুচিস্তান প্রদেশে বিস্ফোরণের খবর দেওয়া হয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) জনবহুল সীমান্ত রয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি এই লঙ্ঘন সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং এর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।’ মঙ্গলবার রাতে হওয়া এই হামলায় ‘দুই নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং তিনটি মেয়ে আহত হয়েছে’।
তেহরান এবং ইসলামাবাদ প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে, তারা জঙ্গিদের অন্যের ভূখণ্ড থেকে আক্রমণ চালানোর সুযোগ দেয়। তবে উভয় দেশের সরকারি বাহিনীর মধ্যে এই ধরনের হামলা বা সংঘাতের ঘটনা বেশ বিরল। ‘ইরানের এই হামলা আরও বেশি উদ্বেগজনক, কারণ পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে যোগাযোগের বিভিন্ন চ্যানেল থাকা সত্ত্বেও এই অবৈধ হামলাটি ঘটেছে।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘পাকিস্তান সবসময় বলেছে যে, সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চলের সমস্ত দেশের জন্য অভিন্ন হুমকি যার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজন। এই ধরনের একতরফা হামলা ভালো প্রতিবেশীমূলক সম্পর্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং দ্বিপাক্ষিক আস্থা ও বিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।’
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।