ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব নিয়ে ফের সংসদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সংসদের জিরো আওয়ারে বিষয়টি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেন দলটির সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাম পরিবর্তনের দাবি উত্থাপন করে ঋতব্রত বলেন, এটি রাজ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতির স্বাক্ষর বহন করে। পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের দাবি অনেক বার তোলা হয়েছে। অনেক বার প্রস্তাবও পাস হয়েছে বিধানসভায়। সর্বশেষ অনেক বিতর্কের পরে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার প্রস্তাব পাস করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন না মেলায় নাম এখনো পরিবর্তন করা হয়নি।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক চিঠিতে লিখেন, পুনরায় নামকরণ আমাদের রাজ্যের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পরিচয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে। ভারতে অতীতে বহুবার রাজ্যের ও শহরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ উড়িষ্যার নাম পরিবর্তন করে ওড়িশা করা হয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবকে অনুমোদন না দিয়ে সাত বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে।
সংসদে ঋতব্রত বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের ফলে ভারতীয় অংশের নাম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ আর অন্য অংশ হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। এখন পূর্ব পাকিস্তান বিলুপ্ত হয়ে বাংলাদেশ হয়েছে। তাই আমাদের নাম পরিবর্তন এখন জরুরি। অবশ্য এক সময়ে এই নাম পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আপত্তির সুর শোনা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার বলেছেন, বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাষাকে সম্মান জানিয়ে রাজ্যের নাম পরিবর্তন করা উচিত। তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে এর কোনও বাস্তব পদক্ষেপ এখনো দেখা যায়নি।
২০১১ সালে ওডিশা রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে ভারত। এ ছাড়া দেশটির একাধিক শহরেরও নাম পরিবর্তন হয়েছে। যেমন- বোম্বাই হয়েছে মুম্বাই, মাদ্রাজ হয়েছে চেন্নাই, ক্যালকাটা থেকে কলকাতা এবং ২০১৪ সালে ব্যাঙ্গালোরের নাম বদলে করা হয় বেঙ্গালুরু।