আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে পদত্যাগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রায় এক দশক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করেন তিনি। তবে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডার জনগণের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রুডোর পদত্যাগের পরপরই দলের নতুন প্রধান বেছে নেবে তার দল লিবারেল পার্টি। ট্রুডো কোনো নির্দিস্ট উত্তরসূরি না নেই তবে আলোচনায় রয়েছেন দলের বেশ কয়েকজন।
দলের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন কানাডার সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ, মেলানী জোলি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকার মার্ক কার্নি ও ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপি চ্যাম্পাগনি।
এদের মধ্যে কানাডার পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অনিতা কানাডার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত। তিনি প্রতিরক্ষা ও ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি। ২০১৯ সালে ওকভিলের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে দ্রুতই ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন অনিতা।
এছাড়া মেলানী জোলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। ৪৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। আরেক নারী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর বেশ ঘনিষ্ঠি হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রিপরিষদের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী।
সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে পারে লিবারেলরা। আর কানাডার প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন দেশটির কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভরে।
উল্লেখ্য, জনমত জরিপের ইঙ্গিত অনুযায়ী, কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য খুব সম্ভাবনা রয়েছে পিয়েরের।