The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫

পদত্যাগপত্রে যা লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক

ব্যাপক সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারির পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ নিজেই এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্রে টিউলিপ লিখেন, সাম্প্রতিক সময়ে আপনি (স্টারমার) আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেছিলেন। সেই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কাজ করার জন্য লাউরি ম্যাগনাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন টিউলিপ। সেইসঙ্গে এও জানান, তিনি (টিউলিপ) তদন্তের স্বার্থে তার বর্তমান ও অতীত আর্থিক এবং বসবাসের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেছেন।

চিঠিতে টিউলিপ আরও বলেন, ‘আপনি জানেন যে, আমার অনুরোধে তদন্তের পর স্যার লরি নিশ্চিত করেছেন যে, আমি মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রীত্বের নীতিমালা লঙ্ঘন করিনি। তিনি (লাউরি) যেমন উল্লেখ করেছেন, আমি যেসব সম্পত্তির মালিক বা যেখানে বসবাস করেছি- সেসবে কোনোরকম জালিয়াতির প্রমাণ নেই। পাশাপাশি, আমার কোও সম্পদ ‘বৈধ উপায় ব্যতীত অন্য কিছু থেকে প্রাপ্ত’- এমন কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

পারিবারিক সম্পর্কের বিষয়গুলো সবাই জানেন উল্লেখ করে টিউলপ আরও লিখেন, আমি যখন মন্ত্রী হয়েছিলাম তখন আমি সরকারকে আমার পরিবার এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছিলাম। সে সময় কর্মকর্তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনার পর তারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ঘোষণাপত্রে আমি যেন আমার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করি এবং বাংলাদেশ সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় এমনকি মন্তব্যও এড়িয়ে চলি। আমি আপনাকে (স্টারমার) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শে কাজ করেছি এবং চালিয়ে যাচ্ছি।’

শেষে টিউলিপ লিখেন, ‘যাইহোক, এটা স্পষ্ট যে আমার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া সরকারের জন্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। লেবার পার্টির প্রতি এবং জাতিকে পুনরুজ্জীবিত করার যে প্রক্রীয়া সরকার শুরু করেছে- তার প্রতি আমার আনুগত্য আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু এখন আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শেষে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পেছন থেকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চিঠি শেষ করেন টিউলিপ।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.