জবি সংবাদদাতাঃ ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পঞ্চম দিনের মত কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুন) বিকাল তিনটার দিকে ক্যম্পাস থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী আব্দুল মমিন বলেন, সমগ্র দেশে চলমান শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আজ থেকে আবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ব্যাচগুলোর পক্ষ থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, আজ আমরা তাঁতিবাজারে গিয়ে আন্দোলন করবো। এরপর গুলিস্তান যাওয়ারও প্ল্যান আছে আমাদের। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন লাগাতার চলতেই থাকবে।
চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা:
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।
২. ‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।