একটি সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। বিজ্ঞানকে ব্যবহারের মাধ্যমে চেয়েছিলেন মানুষের কল্যাণে। তা্রই ধারাবাহিকতায় নাইট্রোগ্লিসারিনের নিরাপদ ব্যবহারের উপায় উদ্ভাবন করতে গিয়ে ডিনামাইট আবিষ্কার করে ফেলেন।
তবে এই বিস্ফোরক যে মানবজাতির জন্য এমন ভয়ংকর হয়ে উঠবে তা তিনি চিন্তও করতে পারেননি।
তিনি চেয়েছিলেন ডিনামাইট এর মাধ্যমে পাথর ভাঙা, টানেল তৈরি বা খনি খননের মতো মানবহিতৈষী কাজে এটি ব্যবহৃত হোক। চেয়েছিলেন মানুষের শ্রম, সময় ও অর্থ বাঁচুক। মানব স্ভ্যতাকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু তা আর হলো কই! মানুষের হাতে পড়েই মহত উদ্দেশ্যে তৈরী ডিনামাইট হয়ে উঠল মারণাস্ত্র। শান্তির স্বপ্ন দেখা আলফ্রেড নোবেল বিবেচিত হতে লাগলেন ‘মৃত্যুর বণিক’ হিসেবে।
এই ঘটনায় আহত, ব্যথিত নোবেল ১৮৯৫ সালে তাঁর সমুদয় সম্পত্তির ৯৪ শতাংশ উইল করে দেন। উইলে বিশ্বের কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা মানুষদের পুরস্কৃত করার নির্দেশনা দেন তাতে। সেই উইলের মাধ্যমেই প্রবর্তিত হয় নোবেল পুরস্কার। ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর দেওয়া হচ্ছে এই পুরস্কার।
আজ ১০ ডিসেম্বর, নোবেল পুরস্কার দিবস। ১৮৯৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন আলফ্রেড নোবেল। প্রতিবছর এই দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।