The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪

নোবিপ্রবি পুনর্গঠনে ৪ দফা প্রস্তাবনা

আবদুল্লাহ আল মামুন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্গঠনে উপাচার্যের কাছে ৪ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’।

মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের কার্যালয়ে এ প্রস্তাবনা পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনার দফাগুলো হলো, দীর্ঘকাল ধরে জেকে বসা অপসংস্কৃতির আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। যেমন: মেধা এবং অপারগতা বিবেচনায় হলে সিট প্রদান, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি বন্ধ করতে হবে, ফ্রী খাওয়া এবং অস্বাভাবিক বাকি খাওয়া রোধকরণ, র‍্যাগিং এবং মাৎস্যন্যায় রোধে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ, সময়ানুবর্তিতা ও নিয়মানুবর্তিতা চর্চায় উৎসাহ প্রদান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার উদ্ভুত বিবাদ, সহিংসতা এবং ফৌজদারী অপরাধ রোধে ও প্রতিকারের নিমিত্তে স্বাধীন ‘ছাত্র কমিশন’ গঠন করতে হবে।

ছাত্র কমিশনের প্রাথমিক ধারণা দিয়ে তারা লিখন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের সভাপতিত্বে ছাত্র কমিশন চলবে, ছাত্র কমিশনের সম্ভাব্য দুটি কমিটি থাকবে, কেন্দ্রীয় কমিটি, ডিপার্টমেন্টাল কমিটি।

কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাব্য সদস্যগণ থাকবে প্রক্টরিয়াল বডির ২ জন সদস্য,প্রতিটি ফ্যাকাল্টির ডিনবৃন্দ ( ঐচ্ছিক), বিবাদমান পক্ষগনের বিভাগীয় চেয়ারম্যানগন, শিক্ষক সমিতির একজন প্রতিনিধি ( থাকার সাপেক্ষে), প্রতিটি বিভাগ থেকে একজন ছাত্র প্রতিনিধি, বিদ্যমান নিবন্ধিত ছাত্র সংগঠনগুলি দুজন করে প্রতিনিধি (থাকার সাপেক্ষে), সাধারণ ছাত্রদের পক্ষে ছাত্র সংসদের ২জন প্রতিনিধি (থাকা সাপেক্ষে) ডিপার্টমেন্ট বা বিভাগীয় কমিটির সম্ভাব্য সদস্যগণ হিসেবে থাকবে বিভাগীয় চেয়ারম্যান,অন্যন্য দুইজন ফ্যাকাল্টি, প্রতি ব্যাচের শ্রেণি প্রতিনিধিগণ।

বিভাগের মধ্যেই উদ্ভূত সমস্যা বিভাগীয় কমিটির নির্বাচন করবে। পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনর জন্য সংক্ষুব্ধ পক্ষ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে অনুমোদন সাপেক্ষে আবেদন করতে পারে।

আন্ত-বিভাগীয় বিবাদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কমিটি ভূমিকায় থাকবে এবং কোন পক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ পক্ষ যাতে হাইকোর্ট ডিভিশনে আপল করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা করা যায় কিনা তা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে (ঐচ্ছিক)। শিক্ষার্থীদের গর্হিত কর্মের শাস্তি তাদের ‘ডিমেরিট পয়েন্টে’র ভিত্তিতে প্রদান করলে ছোট ছোট অপরাধ ও শাস্তির আওতায় আসতে পারে যা বিভাগীয় কমিটি নির্ধারণ করতে পারবে।

ইতিমধ্যে গঠিত গণতদন্ত কমিশন যে সকল শিক্ষার্থীদের ফৌজদারী অপরাধে সংশ্লিষ্টতা পাবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মামলা রুজ্জুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে(ধারা-৪)। নিয়োগ সংক্রান্ত এবং বরাদ্দ সংক্রান্ত (মোটা দাগ)।

শিক্ষার্থীদের এসব দাবির বিষয়ে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, তোমাদের দাবীগুলোর সাথে আমিও একমত। কিন্তু আমি একা সব সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, র‍্যাগিং এর বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবো।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.