The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি

নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পরীক্ষার হলে শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে বাঁধা দেওয়ায় হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিপ্লব মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত বুধবার (১৩ মার্চ) পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জনৈক ছাত্রনেতার শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজে বাধা দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থী হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে।

পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় ছাত্রনেতা হল পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে, ওই শিক্ষক, পরিচালক (ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে থাকে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতারা আরো বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলসমূহে নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে।

তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক সমিতি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু মুষ্ঠিমেয় শিক্ষার্থীদের এরূপ অছাত্রসুলভ আচরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার হলসমূহে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এরূপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

তবে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, শিক্ষককে কক্ষে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। বিপ্লব মল্লিক স্যার নিজেই দায়িত্বরত ম্যাডামকে স্যারের রুমে নিয়ে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার ফোনও অফ ছিল। কিন্তু দায়িত্বরত ম্যামের ফোন এবং ল্যাপটপ দুটোই চালু ছিল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কী বলে? আমি দোষীদের পক্ষ নিচ্ছি না। শিক্ষার্থী যদি দোষী হয় তাহলে এক্ষেত্রে ম্যাডামও দোষী। শাস্তি দুইজনেরই হওয়া উচিত। নকল করলে তাকে শাস্তি দিবে এটাতে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু বিনা অপরাধে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার তো দরকার নেই।

শিক্ষকদের আনা অভিযোগের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, যে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শিক্ষকরা অভিযোগ এনেছেন পরীক্ষার হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে বিষয়গুলো জলঘোলা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ সবসময় ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক বজায়ে বিশ্বাসী। এখানে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। এরপরও উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আমরা কথা বলে ছাত্রদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.