জবি প্রতিনিধি: নেতৃত্বের কোন্দলে অ্যালামনাই টিকে থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমদাদুল হক বলেন, নেতৃত্ব সবার মধ্যে থাকে না, এটি চেয়েও নেয়া যায় না। নেতৃত্ব অর্জন করে নিতে হয়। অনেক সময় নেতৃত্বের কোন্দলে অ্যালামনাই টিকে না।
উপাচার্য বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন আউট কাম বেইজড এডুকেশনের আওতায় এসেছে। এখন আর সিলেবাস ভিত্তিক শিক্ষা নেই। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইকিউএসি চালু করেছেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এর পিছনে জিওগ্রাফি বিভাগের কাজ করতে হবে। অ্যালামনাই যদি একটি রিসার্চ সেন্টার খুলে দেন তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের ৭ একর জায়গা ২০ হাজার শিক্ষার্থী ও ৭ শত শিক্ষক পুরোদমে ক্লাস হলে হাটা বসা কষ্ট হয়ে যায়। আপনারা জানেন ছাত্রীদের জন্য একটি হল আছে, সেখানে ১২০০ ছাত্রী থাকেন। আন্দোলনের মধ্যেই কিন্তু তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি নানারকম আন্দোলন সংগ্রামের ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন ২৭ এর (৪) দ্বারা একটি আইন পাস হয় সে দ্বারাতে বলা ছিল যে বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ বছর পর নিজস্ব আয়ে চলবে। পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সাথে বলেন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এত টাকা কিভাবে দিবেন। তখন একটি আইনের মধ্যমেই জাতীয় সংসদে একটি বিলের মাধ্যমে এই আইনটি বাতিল করা হয়। তারপর এটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে অধ্যায়ন করবে কীভাবে বাংলাদেশের মানুষ কে বাসযোগ্য করার জন্য আমরা অবদান রাখবো। আমাদের শিক্ষার্থীরা সেদিকেই আছে।
অনুষ্ঠান শেষে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অ্যালামনাইয়ের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মল্লিক গোলাম রসুলকে সভাপতি ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদারকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়।